সম্প্রতি সময়ে আলোচনার শীর্ষে পুলিশ কর্মকর্তা খু;নের অন্যতম আ;সামী ও দুবাইয়ের জুয়েলারি ব্যাবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। অথচ বছর পাঁচেক আগেও আরাভের সংসার ছিল অভাব-অনটনের।






ফেরিওয়ালা বাবার সামান্য উপার্জনের টাকা দিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া তার জন্য সহজ ছিল না। এজন্য বাগেরহাটের চিতলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (এসএম মডেল স্কুল) পড়াশোনার পাঠ চু;কিয়ে পাড়ি জমান ঢাকায়।
যাতায়াত শুরু করেন এফডিসিতে। নানা কৌশলে মডেলিংয়ের জগতে প্রবেশ করেন। উঠতি বয়সি অনেক নারী মডেলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের টার্গেট করে ওই মডেলদের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন।






এভাবে প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে মডেলিং থেকে হাঁটতে শুরু করেন অপরাধজগতে। জড়িয়ে পড়েন খু;ন;সহ নানা অপ;রাধে। এরপর কয়েক বছর থাকেন আ;ত্মগোপনে। এরপর হটাৎ কোটিপতি বনে যান।
সেই আরাভ খানকে নিয়ে চর্চার শেষ নাই। সম্প্রতি একটি টকশতে আসেন তিনি। সেখানে তাকে চলমান ঘটনা প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। এ সময় দেশের সংবাদমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষো;ভ প্রকাশ করেন আরাভ। আলোচনার এক পর্যায়ে আরাভ খান তার পোষা বাজ পাখিটা সামনে নিয়ে আসেন।






আরাভের পোষা বাজ পাখি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা সবাই মিলে যে বাজ পাখির পাখা চাচ্ছেন আমি সেটাকে অনেক আগে মেরে ফেলেছি। শুধু আপনাদের জন্য।
এখন এই জিন্দাটা আছে যদি পারেন এটারেও মারতে পারেন। এটার দামও অনেক বাংলাদেশের টাকায় প্রায় দুই তিন কোটি টাকা। এটা আরবের শেখরা পালে।






ওকে সব দেশে নিয়ে যাওয়া যাবে কারণ ওর পাসপোর্ট আছে। আর কোনো বাজ পাখির চোখ খোলা থাকে না। ও আমার ট্রেনিং প্রাপ্ত তাই চোখ খুলে রেখেছি কিছু বলবে না।
পাখিটার দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আরাভ খান বলেন, এই পাখি যখন নিলামে ওঠে একেকটার একেক রকম দাম হয়। তবে ভাই এটা কেনার মত ক্ষ;মতা আমার নাই। আর আমি এটা কখনো কিনবোও না।






আমি অ্যানিম্যাল প্রেমী। তবে বাজ পাখীটা এখানকার একজন আমাকে গিফট করেছে।