প্রয়াত বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের ব্যাংকঋণ নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। ‘মিয়া ভাই’খ্যাত এ অভিনেতার পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এমন কথা।

গত সোমবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুর পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি নিয়ে নানাভাবে সমালোচনা করছিলেন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের অন্য ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশের একটি গণমাধ্যম।

এই ঋণখেলাপির বিষয়টি অনেকে আবার গুজব বলেও উড়িয়ে দিচ্ছেন। তারা বলছেন, চিত্রনায়ক ফারুক ঋণখেলাপি এটা সত্য, তবে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যাংকঋণের বিষয়টি গুজব। একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ গুজব ছড়াচ্ছে।

পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠানের সঙ্গে। তিনি এমন গুজব না ছড়াতে সবার কাছে আহ্বান জানান। বলেন, যেটা সত্যি নয় তা কেন আপনারা ছড়াচ্ছেন। ফারুক পাঁচ হাজার কোটি নয়, ২৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে দুই কোটি টাকা পরিশোধও করে দেন।’

ফারুকের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন ফারহানা। তাই এ বিষয়টি আপাতত বিস্তারিত বলতে চাইলেন না। জানালেন অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে এলেই বিস্তারিত সব জানাবেন।

এদিকে প্রযোজক খসরু মঙ্গলবার বলেন, তিনি এক কোটি টাকার মতো যে ঋণ নিয়েছেন, তার বদলে ব্যাংকে যে সম্পত্তি মর্টগেজ রেখেছেন তার মূল্য আরো বেশি। মর্টগেজ সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ তো শোধ হবে, তার পরও সেখানে যে টাকা থাকবে, সেটা তার পরিবার পাবে।

এদিকে একটি গণমাধ্যম সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, প্রয়াত এ অভিনেতার নামে পাঁচ হাজার কোটি নয়, তার নামে সুদসহ প্রায় ১০১ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে।

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি