অতি লোভের আসায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের চটকদার বিজ্ঞাপনের আর্কশনীয় অফারে পা দিয়ে একাধিক মোটর সাইকেল অর্ডার করেছিলেন বলে জানিয়েছেন একজন ক্রেতা।
অকপটে সেটি স্বীকার করে জানান, ব্যবসা মানেই লোভ, তাই লোভে পড়েই এ ব্যবসায় এসেছেন।






গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কিউকমের গ্রাহকদের অর্থ ফেরত কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ক্রেতাদের মধ্যে ময়মনসিংহ থেকে আগত ক্রেতা শফিকুল ইসলাম এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, আমি গত ১ জুলাই পাঁচটি বাইক অর্ডার করি। এর দাম ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা। দুটি ভিন্ন ট্রানজেকশনের মধ্যে একটিতে ৩ লাখ টাকার মধ্যে পায়েছি ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, আরেকটিতে ২ লাখ ৫১ হাজার টাকার মধ্যে ফেরত পেয়েছি ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। আমি অনেক বেশি খুশি।






পাঁচটি বাইকের অর্ডার কেন করলেন? লোভে পড়ে এতো বাইক অর্ডার করেছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজনেজ মানেই লোভ। লোভ ছাড়া কেউ বিজনেজ করতে আসে না। আপনার লোভ না থাকলে কেন আসবেন, নইলে তো সারাদিন ৫০০ টাকা আয় করলেই চলে। তার মানে লোভ তো আছেই। কিউকমেই আমার ৩৫ লাখ টাকা আটকা আছে, আমি আজ পেলাম ৫ লাখ টাকা।






টাকা ফেরত পাওয়া ক্রেতা শাজাহাদ হোসেন বলেন, গত জুলাইয়ে একটি বাইকের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পে করি আইবিবিএলের অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যমে। কিছুক্ষণ আগে আমার অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা যুক্ত হয়েছে, সম্ভবত কোনো চার্জের কারণে দুই হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এটা অবশ্যই খুশির বিষয়। কারণ ই-কমার্স যে দুঃসময় পার করছে, আমরা যারা ই-কমার্সের ভোক্তা, তারা কিছুটা সংশয়ে ছিলাম। আমি মনে করি এই পদক্ষেপের ফলে হাজার হাজার লাখ লাখ গ্রাহক আবার পণ্য কেনার জন্য সাহস করবে।






এসয় তিনি আরও বলেন, যারা গ্রাহক আছে তারা অথেনটিক মাধ্যমে পণ্য কিনতে চান, বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিয়ে বসে থাকে। সেগুলোতে পা না দিয়ে অথেনটিক বা ভালো সার্ভিস যারা দিতে পারবে তাদের থেকে কিনতে হবে। হুজুগে যেন গা না ভাসায় কেউ।