মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ভারী ব;র্ষ;ণ ও উজানের পানিতে ঘরছাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য খোলা হয়েছে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, এসব জায়গায় ঠায় নিচ্ছে তারা।
এরই মধ্যে শনিবার জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন অন্তঃসত্ত্বা আলেখা বেগমসহ তাঁর পরিবার।






গতকাল বুধবার (২২ জুন) সকালে তাদের কোল জুড়ে আসে সন্তান। নবজাতকের নাম রাখা হয় প্লাবন। জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে আলেখাদের (৩৫) বাড়ি। স্বামী সোহেল মিয়া ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান। তাঁদের ঘরে আরও এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।
আলেখার স্বামী সোহেল মিয়া জানান, গত সোমবার রাত পৌনে ২টার দিকে আমার স্ত্রী প্রথম প্রসব ব্যাথা অনুভব করে। পরে জুড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত তাকে পুলিশের ভ্যানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।






কিন্তু বিদ্যুৎ, পানি, নার্স না থাকার কথা বলে রোগীকে পাশের উপজেলা কুলাউড়ায় অথবা বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলেন সেখানকার দায়িত্বরত এক চিকিৎসক তবে বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে থাকায় যাওয়া সম্ভব হয়নি।
গভীর রাত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও কোনো গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারিনি। তেলসংকটে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সও বিকল হয়ে পড়ে আছে বলে জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন।






নানা দুশ্চিন্তায় সেখানেই রাত কাটে। এ অবস্থায় পরের দিন মঙ্গলবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরে আসি। এসময় হাসপাতালে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সমরজিৎ সিংহ জানান, খবর পেয়ে নবজাতক ও প্রসূতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা উভয়ই সুস্থ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে।






পরিবেশমন্ত্রীও নবজাতকের খোঁজ নিয়েছেন। আমরাও খোঁজ রাখছি। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার বিষয়ে প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।