কাতারে চার লাখের অধিক বাংলাদেশির বসবাস। প্রতিদিন পাসপোর্ট নবায়ন করতে আড়াইশ থেকে তিনশ জন মানুষ ভিড় করেন কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাসে। তবে একটি ই-পাসপোর্ট বুথ থাকায় মাত্র ৩০-৪০টি আবেদন গ্রহণ করতে পাচ্ছে দূতাবাস। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে প্রবাসীরা।

চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসে কাতারে চালু হয় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। এতে আনন্দিত হয়েছিলেন প্রবাসীরা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। দূতাবাসে আসা ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সেবা দেয়ার জন্য মাত্র একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া একটি মাত্র ই-পাসপোর্ট বুথ নিয়ে ধীর গতিতে চলছে সেবা প্রদান। তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

দূতাবাসে সেবা নিতে আসা কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নের মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসে আশানুরূপ সেবা পাওয়া যায় না। যেটুকু দিচ্ছেন তাও আবার ধীর গতির। তীব্র গরমের দূতাবাসে সেবা নিতে এসে প্রবাসীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। দূতাবাসের কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানাই।

এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে ই-পাসপোর্ট তৈরি হওয়ায় অনেকের নাম ও জন্ম তারিখ মিল না থাকায় ই-পাসপোর্ট না করে বাধ্য হয়ে আগের এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে দেখা যায়। এতে আরও বিপাকে পড়েছেন আবেদনকারীরা। তাই পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের সুযোগ চায় প্রবাসীরা।

কাতার প্রবাসী হাজী বাসার সরকার বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যাতে কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট সেবা দেওয়ার জন্য জনবল বৃদ্ধি করে। তা না হলে এখানে নিয়মিত হট্টগোল দেখা দিবে। তাই এই দূরাবস্থা থেকে আমরা প্রবাসীরা রেহায় পেতে চাই।’

কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, দূতাবাসে পর্যাপ্ত পরিমাণের ই-পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণের মেশিন না থাকা, দক্ষ জনবলের অভাব এবং ঢিলেঢালা কার্যক্রম হওয়ার কারণে প্রবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে জানানো হলেও তারা দ্রুত সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই ই-পাসপোর্ট আবেদন ও ডেলিভারির ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট সেবা আরও সহজ করার জন্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদানের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্ট প্রদান চালু আছে। এ ছাড়া দূতাবাসের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রগুলোও চালু আছে।’

বাংলা উক্তি