বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানেই আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। এরপর কাজটা ছিল ব্যাটারদের। লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই ছিল, কিন্তু ১২৫ রানের মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে বেশ বেগ পেতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের। সেই সহজ লক্ষ্যই কঠিন করে জিততে হল বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের ২ উইকেটে হারিয়ে টাইগাররা। এতে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। জয় পেলেও ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

১২৫ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন-হৃদয়ের ৬৩ রানের জুটিতে স্বস্তি আসে টাইগার শিবিরে। তবে তাদের জুটি ভাঙতেই চাপে পড়ে যায় লাল-সবুজের দল। ৯১ রানে ৪ উইকেট থেকে ১১৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে সাকিবরা।

শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। স্ট্রাইকে তখন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচকে নিজেদের দিকে টেনে নেন সাইলেন্ট কিলার। পরের বলে এক রান নিয়ে সাকিবকে স্ট্রাইক দেন। এক বল ডট দিয়ে পরের বলে এক রান নিয়ে মাহমুদউল্লাহকে স্ট্রাইক দেন। পঞ্চম বল থেকে ডট আদায় করে নেন দাসুন শানাকা। ষষ্ঠ বলে মাহমুদউল্লাহকে আউটের জন্য রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। উল্টো রিভিউ থেকে সেই বলকে ওয়াইড ঘোষণা করেন থার্ড আম্পায়ার। যার ফলে ৭ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ২ রান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ২ রান নিয়ে এক ওভার হাতে থাকতেই বাংলাদেশের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিব। ১৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে নুয়ান তুশারা নেন ৪টি উইকেট।

১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ ছিলেন আজকের সেরা বোলার। এছাড়া ইনজুরি থেকে ফেরা তাসকিন ২ ও তানজিম হাসান ১ উইকেট পেয়েছেন। অন্যদিকে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তরুণ লেগ স্পিনারই।

১৮তম ওভারে তুশারার জোড়া আঘাতে বিপদে বাংলাদেশ। রিশাদের পর তার শিকার হয়েছেন তাসকিন। ৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নেই ৮ উইকেট। দরকার ১২ রান।

থিকসানার দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেছেন সাকিব। অহেতুক শটে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন তিনি। ১৪ বলে ৮ রান করে থেমেছেন সাকিব। বাংলাদেশের দরকার ১৬ রান। বাকি ৪ উইকেট আর ২২ বল।
হৃদয়ের পর লিটনকেও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন হাসারাঙ্গা। ৯৯ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট। ৩৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে থামলেন লিটন। জয়ের জন্য দরকার ২৬ রান। বাকি ৩৫ বল।

৫৪ বলে ৫২ রান লাগে এমন সময়ে হাসারাঙ্গাকে টানা তিন ছক্কা মারেন হৃদয়। তবে হ্যাটট্রিক ছক্কা মারার পরের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন মারকুটে এই ব্যাটার। ২০ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কায় ৪০ রান তুলেন হৃদয়। ১২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী সাকিব। ৪৮ বলে ৩৩ রান দরকার বাংলাদেশের।

শ্রীলঙ্কা তাদের পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৫৩ রান। সেখানে বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে হারিয়েছে তিন উইকেট, তুলেছে ৩৪ রান। এতে পাওয়ারপ্লেতেই ১৯ রান পিছিয়ে আছে শান্তর দল। ৬.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হৃদয়।

দলকে চাপে রেখে সাজঘরে কাপ্তান শান্ত

৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর শান্ত-লিটন প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই প্রতিরোধও ভেঙে পড়ে তুশারার আঘাতে। দলীয় ২৮ রানে তুশারার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। ফেরার আগে ৭ রান করেছেন তিনি।

শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

প্রথম ওভারেই সৌম্যকে হারায় বাংলাদেশ। লঙ্কান পার্টটাইমার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ব্যর্থ স্লগ সুইপে ফিরলেন তিনি। পরের ওভারে বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে আউট হলেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তুশারার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩ রান করেন তামিম। ২ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ রান। ক্রিজে আছেন শান্ত ও লিটন।

শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকালো বাংলাদেশ, টার্গেট ১২৫

প্রথম ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ২ উইকেটে ৫৩। পরের ১৪ ওভারে মাত্র ৭১! হারিয়েছে ৭ উইকেট। রিশাদ-তাসকিন-মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কামব্যাক করে বাংলাদেশ। এতে বিশ্বকাপের শুরুর অভিযানে শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে বেঁধে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশের টার্গেট ১২৫ রান। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন নিশাঙ্কা। রিশাদ-মুস্তাফিজ নেন ৩টি করে উইকেট। তাসকিন ২ ও তানজিম শেষ ওভারে নেন ১টি উইকেট।

আরাও পড়ুন... সেরা উক্তি