গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী কাতার মঙ্গলবার বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির বিষয়ে তারা ইসরায়েলের ‘স্পষ্ট অবস্থানের’ জন্য অপেক্ষা করছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, ‘আমরা এখনো ইসরায়েলি সরকারের কাছ থেকে বাইডেনের দেওয়া নীতিগুলোর প্রতি খুব স্পষ্ট অবস্থান দেখতে পাইনি।’ পাশাপাশি উভয় পক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো ‘নির্দিষ্ট সমর্থন’ ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আনসারি একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলি মন্ত্রীদের কাছ থেকে আসা পরস্পরবিরোধী বিবৃতি পড়েছি এবং দেখেছি, যা বর্তমান প্রস্তাবে ইসরায়েলে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে খুব বেশি আস্থা দেয় না।

এ ছাড়া ফিলিস্তিনি আন্দোলন হামাস এখনো দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানায়নি বলেও এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষের এমন কোনো বিবৃতি দেখিনি যা আমাদের অনেক আস্থা দেয়। প্রক্রিয়াটি অগ্রসর হচ্ছে এবং প্রস্তাবের ওপর উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি।’

কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও উভয় পক্ষের জিম্মি ও বন্দিদের বিনিময়ের বিশদ বিবরণ নিয়ে কয়েক মাস অমীমাংসিত আলোচনায় নিযুক্ত রয়েছে।

আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার বলেছেন, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মিদের মুক্তিসহ সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির দিকে একটি নতুন তিন পর্যায়ের পরিকল্পনা প্রস্তাব করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, ইসরায়েলের তিন পর্যায়ের প্রস্তাবটি ছয় সপ্তাহের পর্যায় দিয়ে শুরু হবে, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার সমস্ত জনবহুল এলাকা থেকে প্রত্যাহার ও প্রাথমিক জিম্মি-বন্দি বিনিময় দেখা যাবে। তারপরে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা হবে, যতক্ষণ আলোচনা চলবে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়ের পরিকল্পনাটি হামাসকে ক্ষমতায় না রেখে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পুনর্গঠনের দিকে এগিয়ে যাবে।
আনসারি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে গতি আছে, যুক্তরাষ্ট্র চালিত…তবে আমাদের খুব সতর্ক হওয়া দরকার। আমরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রভাব খাটাচ্ছি…উভয় পক্ষই পরিস্থিতির চরম গুরুত্ব ও একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে তা নিশ্চিত করতে।’

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কাতারের শাসক সোমবার কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউস অনুসারে, বাইডেন আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে বলেছেন, হামাসই ইসরায়েলের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একমাত্র বাধা ছিল।

এ সময় বাইডেন তাকে হামাসকে চুক্তিটি মেনে নিতে চাপ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।এর আগে ইসরায়েল দক্ষিণ গাজার রাফাতে স্থল অভিযান শুরু করায় মে মাসের শুরুতে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

সূত্র : এএফপি

আরাও পড়ুন... সেরা উক্তি