আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মজিরন বেগম। দেড় বছর আগে সরকারের দেওয়া ওই ঘরে ওঠেন। চার-পাঁচ মাস পর তার নামে একটি বিদ্যুতের মিটার হয়। ওই ঘরে একটি মাত্র ফ্যান ঘোরে।

তাও খুবই অল্প সময়। আর রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত ঘরে-বাইরে মিলে জ্বলে দুটি বাতি। এতেই মে মাসে মজিরন বেগমের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা।
বিদ্যুতের এমন ভুতুরে বিলের ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায়।

ওই উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কুষ্টারী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকেন মজিরন বেগম।

এতো টাকা বিদ্যুৎ বিল দেখে মজিরনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। পরে বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীনকে অবগত করেন। যদিও এর আগের মাসগুলোতে ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকা বিল আসতো বলে জানিয়েছেন তিনি।

মজিরন বেগম বলেন, ‘ঘরে একটা ফ্যান ও দুটি বাতি জ্বালাই। আগে বিল কম আসলেও এ মাসে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা এসেছে। কিন্তু কিভাবে এত টাকা আসল বুঝতে পারছি না। মঙ্গলবার (আজ) বিদ্যুৎ অফিসের লোক ১৬৫ টাকা বিল নিয়ে মিটারটি পরিবর্তন করে দিয়েছে।’

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোস্তফা কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্ধারিত স্থান থেকে ওই গ্রাহক আমাদের না বলেই মিটারটি স্থানান্তর করেছেন।

ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ (মঙ্গলবার) তার মিটার পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি