দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় খাত হচ্ছে প্রবাসী আয়। আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে খাতটি।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা ছাড়া অন্য সুবিধা না পেলেও প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।

সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ঢাকা জেলার প্রবাসীরা। আর সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে পার্বত্য অঞ্চলের জেলা বান্দরবানে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ঢাকা জেলায় রেমিট্যান্স এসেছে সর্বোচ্চ ৬৯৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। আর বান্দরবানে এসেছে মাত্র ১ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

তথ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগের ১৩ জেলায় মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৪ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

সবচেয়ে কম এসেছে রংপুর বিভাগে। এ বিভাগের আট জেলায় রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ৫২ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বরিশাল জেলায়।

সর্বনিম্ন ৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন ঝালকাঠি জেলার প্রবাসীরা।

চট্টগ্রাম বিভাগ ১১টি জেলার সমন্বিত রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ৫৯৬ কোটি ১৫ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে চট্টগ্রাম জেলা, যার পরিমাণ ১৬১ কোটি ১৮ লাখ ডলার।

এ বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলার এসেছে কুমিল্লা জেলায়।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মোট প্রবাসী আয় এসেছে ৯২ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যশোর জেলায়, যার পরিমাণ ২১ কোটি ২০ লাখ ডলার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল কুষ্টিয়া জেলার ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ বিভাগের নড়াইল জেলায় সর্বনিম্ন ৪ কোটি ৭২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বছরজুড়ে।

দেশের সর্বশেষ বিভাগ হিসেবে ঘোষিত ময়মনসিংহের চারটি জেলার সম্মিলিত প্রবাসী আয় এসেছে ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ময়মনসিংহ জেলায়। যার পরিমাণ ২১ কোটি ডলার।

এর পরের অবস্থানে থাকা জামালপুর জেলায় এসেছে ১০ কোটি ৩৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ প্রবাসী আয়। সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় পেয়েছে শেরপুর। জেলাটির প্রবাসীরা পুরো অর্থবছরে মাত্র ৩ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বগুড়া জেলার প্রবাসীরা। এ জেলায় রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৭ লাখ ডলার আর সর্বনিম্ন জয়পুরহাট জেলায় এসেছে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

এ বিভাগের মোট প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার। রাজশাহী থেকে আলাদা হওয়া রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রবাসী আয়ের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।

দেশের সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে এ বিভাগের জেলাগুলোতে। রংপুর বিভাগের সমন্বিত প্রবাসী আয় ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাওয়া জেলা গাইবান্ধায় এসেছে ৬ কোটি ডলার ও সর্বনিম্ন লালমনিরহাট জেলায় ২ কোটি ৪ লাখ ডলার।

গড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সিলেট বিভাগে। এ বিভাগের মাত্র চার জেলার মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২৪৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার।

সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সিলেট জেলায় যার পরিমাণ ১২৪ কোটি ৪১ লাখ ডলার।

পরের অবস্থানে আছে মৌলভীবাজার জেলা। এ জেলায় প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৫৮ কোটি ডলার।

সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে সুনামগঞ্জ জেলা। এ জেলার প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন মাত্র ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স।

বাংলা উক্তি