বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ২শ ডলার ছাড়িয়েছে।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ২১৫ দশমিক ৪৭ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ২৪ দশমিক ৪৫ ডলার বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।

বিশ্বাবাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকায়। যা গত ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেয়ায় বাড়ছে সোনার দাম। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক কারণেও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ঝুঁকছেন স্বর্ণের দিকে।

এদিকে, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ও বাজুস সহসভাপতি মাসুদুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির সমস্যা চলছে। যা স্বর্ণের দাম বাড়ার পেছনে একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। মূলত মূল্যস্ফীতি বাড়লে অর্থের মান কমে যায়। তখন স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়ে।

বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মাসুদুর রহমান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ যখন সুদের হার বাড়ায় তখন স্বর্ণের দাম কমে যায়। কারণ ডলারের প্রতি মানুষ তখন ঝুঁকে যায়। ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। সুদহার কমলে বিশ্ববাজারে আরও বেড়ে যাবে স্বর্ণের দাম।

এছাড়া ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন জানিয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখন ডলারের বদলে স্বর্ণ মজুতকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এতে বাড়ছে স্বর্ণের চাহিদা। আর চাহিদা বাড়ায় প্রভাব পড়ছে দামেও।

মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসাবে চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেটা রাতারাতি হবে না। তবে এটি প্রায় ২ হাজার ২০০ ডলারের কাছাকাছি চলে গেছে। ধীরে ধীরে স্বর্ণের দাম ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের পূর্বাভাসের দিকেই ধাবিত হচ্ছে।

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি