ঘটনাটি ভারতের গুজরাটের। সেখানে হিম্মতনগরের নির্মাণ ব্যবসায়ী ভবেশ ভাণ্ডারী সবমিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি রুপি সম্পদের মালিক ছিলেন। তবে নিজের যাবতীয় সম্পদ বিলিয়ে দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সন্ন্যাসীর জীবন বেছে নিচ্ছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, সন্ন্যাসের শপথ নেওয়ার পরে দেশ জুড়ে ভিক্ষা করেই জীবন নির্বাহ করবেন এই দম্পতি।

জানা গেছে, গত রবিবার একটি বিশেষ শোভাযাত্রার আয়োজন করেন এই দম্পতি। প্রায় চার কিলোমিটার পথ একটি রথে চেপে পাড়ি দেন তারা। রাজকীয় পোশাকে সেজে নিজেদের যাবতীয় সম্পদ ওই শোভাযাত্রা থেকেই বিলিয়ে দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।

ভারতীয় গণমাধ্যম পিটিআই বলছে, আলোচিত এই দম্পতিকে আসলে সন্ন্যাসী হওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তারই দুই ছেলেমেয়ে। ২০২২ সালে সন্ন্যাস নিয়েছিল তাদের দুই সন্তান।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি অনুষ্ঠান করে নিজেদের সব সম্পত্তি দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ধীরে ধীরে শুরু করেন ত্যাগ স্বীকারের প্রক্রিয়া। আর গত রবিবার তাদের যাবতীয় সম্পদ একটি শোভাযাত্রা থেকেই বিলিয়ে দেন। তবে এখনো তাদের কৃচ্ছ্রসাধন শুরু হয়নি। আগামী ২২ এপ্রিল শপথ নেওয়ার পরে শুরু হবে তাদের সন্ন্যাস জীবন।

আরও বলা হয়েছে, সন্ন্যাস হতে হলে সংসারের সঙ্গে সব বন্ধন কাটিয়ে ফেলতে হবে তাদের। কোনো সম্পত্তিও রাখতে পারবেন না। সঙ্গে থাকবে কেবল সাদা রঙের দুটি পোশাক। আর থাকবে ভিক্ষার পাত্র এবং সাদা রঙের ঝাঁটা ‘রাজহরন’।

জৈন সন্ন্যাসীরা কোথাও বসতে গেলে এই ঝাঁটা দিয়েই সব পোকামাকড় সরিয়ে দেন। সন্ন্যাস নেওয়ার পর থেকে খালি পায়ে গোটা দেশে ঘুরবেন ভবেশ ও তার স্ত্রী। ভিক্ষার অর্থেই চলবে তাদের জীবন।

এর আগে গত বছর, গুজরাটের এক কোটিপতি হীরা ব্যবসায়ী এবং তার স্ত্রীও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তার আগে ২০১৭ সালে মধ্যপ্রদেশের বিত্তশালী ব্যবসায়ী সুমিত রাঠৌর এবং স্ত্রী অনামিকা ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দান করার পরে সন্ন্যাস গ্রহণ করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন।

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি