ঈদের পর সয়াবিন তেলের দাম পুননির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, খোলা বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৪৭ ও পামওয়েল ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাম বেঁধে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে মিলগেইটে এই দরে তেল বিক্রি হবে। আগামী দুই মাস তেলের আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল থাকলে এই দামই স্থির থাকবে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১৬৭ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮১৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে কমে দাঁড়াল ১৪৭ টাকা।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সয়াবিন তেলে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। গত সোমবার ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হয়। ওইদিনই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন মিল মালিকেরা। তেলের দাম ১০ টাকা বাড়াতে বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দেয় মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেদিন সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির ‘সুযোগ নেই’ বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।

দেশে দেশে কমেছে সয়াবিনের দাম, বাংলাদেশ উল্টোপথেদেশে দেশে কমেছে সয়াবিনের দাম, বাংলাদেশ উল্টোপথে
বাংলাদেশে সয়াবিন, পাম তেলসহ বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে মেটানো যায় ২ লাখ টন আর বাকি ১৮ লাখ টনই আসে আমদানি থেকে।

বিজনেস ইনসাইডারের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে সয়াবিন তেলের দাম পাউন্ডপ্রতি দশমিক ৪৫ মার্কিন ডলার। লিটারের হিসাবে গেলে এক লিটার তেলে দুই পাউন্ডের কম লাগে যা টাকায় ৯৭ টাকার কিছু বেশি।

আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারের তথ্যদাতা প্রতিষ্ঠান ইনডেক্সমুন্ডির তথ্যমতে, গত জানুয়ারিতে সয়াবিন তেলের টনপ্রতি দাম ছিল ৯৭১ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এ দাম কমে দাঁড়ায় ৯১১ দশমিক ৯০ ডলারে। লিটারের হিসাবে এলে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ছিল জানুয়ারিতে ১০৬ এবং ফেব্রুয়ারিতে ১০০ টাকার মতো।

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি