সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বদলে গেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর চিত্র। জাহাজটির চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়েছে। প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ফায়ার হোস (যেটি দিয়ে জোরে পানি ছিটানো হয়)।

গত শনিবার জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজ কর্তৃপক্ষ এসব নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, কাঁটাতার ও ফায়ার হোস জাহাজের মধ্যে ছিল। এগুলো ওই সময় লাগানো হয়নি, কারণ ওই সময় রিস্ক জোনের অনেক দূরে ছিল। এখন যেহেতু রিস্ক জোনে সে জন্য এগুলো লাগানো হয়েছে।

জাহাজে থাকা এক নাবিক জানান, জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজের চারদিকে কাঁটাতার দেওয়া হয়। ফায়ার হোস স্থাপন করা হয়।

গত শনিবার দিবাগত রাতে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সোমালিয়া উপকূল ছাড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। ওই বন্দরে পৌঁছাতে জাহাজটির আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে।

উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার ফেডারেল রাজ্য পুন্টল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে গ্রেপ্তার জলদস্যুরা ৫ মিলিয়ন ডলার বা ৫৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ২৩ নাবিক ও বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আটজন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সোমালিয়ার আরেকটি অনলাইন ‘সোমালিয়ান টুডে’ লিখেছে, বাংলাদেশি জাহাজকে ছেড়ে দিয়ে জলদস্যুরা উপকূলের কাছাকাছি লুকিয়ে রয়েছে। তাদের ধরতে সোমালিয়ার পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ইইউ নৌবাহিনী সতর্ক করেছে যে মুক্তিপণ প্রদানের ফলে আরও সোমালিয়ার জলদস্যুদের দ্বারা হাইজ্যাকিং হতে পারে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ‘এসপ্লাশ’ নামের পোর্টাল লিখেছে, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুতা অভিযান পরিচালনাকারী ইইউ আটলান্টা নৌবাহিনী সতর্ক করেছে যে, গত সপ্তাহে একটি বাংলাদেশি কোম্পানি তার জাহাজ এবং ক্রুকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিপণ দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে মার্চেন্ট শিপিংয়ে আরও আক্রমণ হতে পারে।

ইউরোপীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে জলদস্যুতার হুমকির সাম্প্রতিক বৃদ্ধির আলোকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে যাত্রা করা জাহাজগুলোকে গতকাল একটি উচ্চতর সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। তারা জানায়, মুক্তিপণের অর্থ প্রদানের ফলে ছিনতাইয়ের একটি নতুন তরঙ্গ তৈরি হতে পারে। যা ভবিষ্যতে বণিক জাহাজে স্কিফ আক্রমণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। bengali shayari

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি