গত বছরের ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন আট জন অফিসারকে আটক করেছিল কাতারের (Qatar) গোয়েন্দা সংস্থা (8 former Indian Navy officers are imprisoned)। একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতেন তাঁরা।

আট মাস আগের সেই গ্রেফতারির ঘটনায়, এখনও জানা যায়নি, তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ! বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে ভারত সরকারের তরফে। আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ওই অফিসারদের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে। মামলার প্রথম শুনানি হয়েছিল ২৯ মার্চ, পরবর্তী শুনানি হবে ৩ মে।

কাতারের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো না হলেও, সূত্রের খবর, প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। বলা হয়েছে, সে দেশের উন্নত সাবমেরিনগুলির ব্যাপারে ইজরায়েলকে তথ্য পাচার করা হয়েছে। জানা গেছে, অত্যাধুনিক এই সাবমেরিনগুলি এমন এক মেটেরিয়াল দিয়ে ঢাকা থাকে, যার কারণে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয় যুদ্ধের সময়ে।

২০২২ সালের ৩০ অগস্ট রাতে এই অভিযোগে নৌবাহিনীর ওই আট কর্মীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের নাম, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ।

গত বছরের ওই ঘটনার পর থেকে এই অফিসারদের পরিবার অনেক চেষ্টা করেও তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে কোনও তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে। এর পরেই ভারতীয় দূতাবাস এগিয়ে আসে এবং সবরকম আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। ওই অফিসারের পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত কাতার যাতায়াতের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে দূতাবাস।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘নৌবাহিনীর প্রাক্তন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ তা এখনও কাতার খোলসা করেনি। গোটা বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আমরা ওই অফিসারদের সহায়তা করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করছি। কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।

দোহায় আমাদের দূতাবাস ওই অফিসারদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। একটি শুনানি হয়েছে, পরের শুনানি মে মাসের প্রথম দিকে। সেই শুনানিও এগোনো যায় কিনা, আমরা দেখার চেষ্টা করছি। আমরা ওঁদের ফেরানোর ব্যাপারে নিশ্চিত।’

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি