যে কোনো সংসারে স্বামী-স্ত্রীর টুকটাক ঝামেলা থাকেই। সেটাও চার দেয়ালের মাঝে। আর স্বামী-স্ত্রীর এই ঝামেলা যদি বাইরে আসে তাহলে ঘটতে বড় বিপত্তি।

যেমনটা ঘটেছে মিউনিখ থেকে ব্যাংককগামী লুফথানসার এক ফ্লাইটে। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় যন্ত্রণায় মাঝপথেই উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে।

গত বুধবার দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করে ব্যাংককগামী ওই ফ্লাইট। একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মদ্যপ ছিলেন। ক্রুরা অভিযোগ করেছিলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে চিৎকার করে ঝগড়া করছিলেন।

তিনি স্ত্রীর দিকে খাবার ছুড়ে ফেলেন এবং একপর্যায়ে লাইটার দিয়ে একটি কম্বল পোড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। উড়োজাহাজের কর্মীরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে উড়োজাহাজটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, জার্মান ওই নাগরিকের স্ত্রী থাই নাগরিক। মাঝ আকাশে তাঁদের মধ্যে তর্ক শুরু হলে পাইলট নয়াদিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চেয়েছিলেন।

উড়োজাহাজটি গতকাল সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে আইজিআই বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিষয়টি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। পরে ওই দম্পতিকে সিআইএসএফ ও অভিবাসন কর্মকর্তারা নামিয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি দিল্লি পুলিশের নজরে আনা হয়নি।

একজন কর্মকর্তা বলেছেন, উড়োজাহাজে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া শুরুর পর ওই স্ত্রী কেবিন ক্রুদের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন।

এই অভিযোগের পর তাঁদের দুজনকেই মিউনিখে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে লুফথানসা এয়ারলাইনস একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ওই বিবৃতিতে এয়ারলাইনসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘উড়োজাহাজে থাকা এক যাত্রীর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ফ্লাইটটি দিল্লির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ব্যাংককের ফ্লাইটটি পরে সামান্য দেরি করে যাত্রা শুরু করেছে। আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের জন্য নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।’

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

মা নিয়ে উক্তি বাংলা উক্তি